॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করেছে জেলা ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। গতকাল ১৪ই জুন বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, সকাল থেকেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে। জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ঘোষিত জেলা কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চাইতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এ সময় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঘোষিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম রোমানের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত ২শতাধিক নেতাকর্মী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও ফ্যানসহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে।
গত ১৩ই জুন দিবাগত রাতে রাজবাড়ী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি আরিফুজ্জামান আরিফকে সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেকের ছেলে এম.এ খালেদ পাভেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরকারী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বলেন, ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম রোমান বিএনপির দুর্দিনে অনেক হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। তার মতো ৩০ বার জেলখাটাসহ অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কতিপয় নেতার যোগসাজশে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন অর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান অর্থের বিনিময়ে এ কমিটি করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে বিএনপিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। তারা ত্যাগী নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় কমিটি ঘোষণার দাবী জানা।
জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা নিয়ে তার কোন হস্তক্ষেপ নেই। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে জেলা বিএনপির কিছুই করার নেই। জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের কথা তিনি শুনেছেন। তবে বাস্তবে কি হয়েছে সে ব্যাপারে তার কোন কিছু জানা নেই।
আরিফুল ইসলাম রোমান বলেন, বিএনপির দুর্দিনে দলের সাথে থেকে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, ৩০বার জেল খেটেছি। তাই আমি সভাপতি বা সম্পাদক না হওয়া আমার সমর্থকরা মেনে নিতে পারছে না। কমিটি পুনর্গঠিত না হলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী আমাকে সাথে দল থেকে সরে যাবে, সে ক্ষেত্রে বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।