Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনায় সম্মেলন

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ৭ই জুন বেলা ১১টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প ‘একটি বাড়ী একটি খামার’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা শীর্ষক সম্মেলন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসার উদ্দিন, বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা, পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ ও রাজবাড়ী বিআরডিবি’র উপ-পরিচালক(অঃ দাঃ) মোঃ আব্দুর রশিদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বাপউবো’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন উপজেলার একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল প্রত্যেক বাড়ীর একজনকে চাকুরী দেওয়া। সেই অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প চালু করেন। যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে এই কার্যক্রমের আওতায় একটি পরিবারের একজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে ২শত টাকা করে সঞ্চয় সংগ্রহ করা হয় ও সঞ্চয়ের সমপরিমাণ অর্থ সরকার অনুদান হিসেবে দেয়। এর পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প থেকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বচ্ছলতা আনয়ণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে সদস্য সংগ্রহ এবং সঞ্চয় ও ঋণ আদায়ে গাফিলতি পরিলক্ষিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর তরফ থেকে বিষয়টি তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকদের বরাবর ডিও লেটার প্রদান করে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যেহেতু মন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রকল্পটি পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে সেহেতু এই প্রকল্পটির সকল কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনয়ণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজকের এই সম্মেলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজবাড়ী জেলায় বর্তমানে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পে সদস্য অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সঞ্চয় সংগ্রহ ও ঋণ আদায়ে বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলায় কিছুটা অগ্রগতি পরিলক্ষিত হলেও রাজবাড়ী সদর, পাংশা ও কালুখালী উপজেলা এই দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এর প্রধান কারণ সঠিক তদারকি এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার অভাব। রাজবাড়ী জেলার ৪২টি ইউনিয়নে যারা এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত তারা সকলেই তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোকে প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে এই অর্থবছরের মধ্যে বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলা সদস্যদের সঞ্চয় সংগ্রহ ও বিতরণকৃত ঋণের অর্থ আদায়ে শতভাগ এবং সদর, পাংশা ও কালুখালী উপজেলা অন্তত শতকরা ৭৫ ভাগ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যাতে করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জিডিপি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের নতুন নিয়োগের বিভিন্ন বিষয়, প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা ও ভবিষ্যতে কীভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আরো সফলতা অর্জন করা যায় সে ব্যাপারে দিক-নির্দেশনামূলক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সেই লক্ষ্যে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রকল্পটির প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা ও তদারকির নির্দেশ প্রদান করেন।