Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ীতে র‌্যালী ও আলোচনা

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে ‘তামাক করে হৃৎপিন্ডের ক্ষয়-স্বাস্থ্যকে ভালোবাসি, তামাককে নয়’ শ্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে গতকাল ৩১শে মে সকালে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে বের হয়ে সদর হাসপাতাল চত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এরপর সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্সের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ একেএম গোলাম ফারুক, জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি নেফাজ উদ্দিন, জেলা এনজিও ফেডারেশনের সভাপতি লুৎফর রহমান লাবু প্রমুখ।
সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী শফিউল আজম শুভ। সভা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোকরেমা মাঞ্জুরা।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছাদেকুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাদিয়া শাহনাজ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, ধূমপানের কারণে প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। যা সংখ্যার দিক দিয়ে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতে বেশী। সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ সবচেয়ে বেশী ধূমপান করে। সে জন্য বাংলাদেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সরকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তামাক জাতীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। তামাক ও তামাক জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহারের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাসহ যে মারাত্মক রোগগুলো হচ্ছে সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকলকে এই তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার না করার ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। রাজবাড়ী জেলার তামাক চাষীদের নিরুৎসাহিত করার জন্য তামাকের পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে। যাতে তারা তামাক চাষ থেকে বিরত থাকে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিনি সরকারের তামাক বিরোধী আইন মেনে পাবলিক প্লেস ও প্রকাশ্যে ধূমপান থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।