॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কার্যক্রম থেমে নেই। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদী থেকে বেলচা-কোদাল দিয়ে বালু কেটে বিক্রি করাসহ নদীতে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করে বেড়ীবাঁধের পাশে মেশিন দিয়ে বালু আনলোড চলছে দেদারছে। সেই সাথে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু বেড়ীবাঁধের পাশে বিভিন্ন স্থানে বিশাল স্তুপ করে সংরক্ষণের জন্য ঘের নির্মাণ কার্যক্রমের তোড়জোর চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং বিক্রি কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন। হেভীলোডের ট্রাকে বালু পরিবহন করায় স্থানীয় লোকজনের বসবাস-চলাচলে বিঘœ এবং বেড়ীবাঁধের রাস্তার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বন্যার সময় শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধ ধ্বসের আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরে। কিন্তু তার পরেও হাবাসপুরে পদ্মানদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বেড়ীবাঁধের পাশে বালুর বিশাল স্তুপ এবং হেভীলোডের ট্রাকে বালু পরিবহন চলছেই।
গতকাল ২২শে মে দুপুরে সরজমিন হাবাসপুর ঘাটে পদ্মানদী থেকে বেলচা-কোদাল দিয়ে বালু কেটে ট্রলি ভর্তি এবং বেড়ীবাঁধের রাস্তার উপর লোহার মোটা পাইপ লাগিয়ে নদী থেকে ড্রেজিং করে আনা বালু আনলোডের কার্যক্রম দেখা যায়।
ওই সময় পদ্মা নদীর ঘাটে উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, শহর রক্ষা বেড়ীবাঁধ রক্ষায় নদী থেকে বালু উত্তোলন ও বেড়ীবাঁধের পাশে আনলোড করে বালুর বিশাল স্তুপ করে রাখা নিষেধ করা হয়েছে। বেড়ীবাঁধের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার সীমানা লাল ফিলাগ উড়িয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বালুর স্তুপ করার জন্য বালু ব্যবসায়ীরা বেড়ীবাঁধের পাশে ঘের নির্মাণ করছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি অবহিত করার কথা উল্লেখ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বেড়ীবাঁধ রক্ষায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন, বেড়ীবাঁধের রাস্তায় হেভীলোডের ট্রাকে বালু পরিবহন বন্ধ এবং বেড়ীবাঁধের পাশে স্তুপ করে রাখা বালু অপসারণে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।