॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন এবং সেই সাথে মোবাইল ফোনে ধর্ষণের স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানা পুলিশ অভিযুক্ত কম্পিউটার দোকানী রুবেল কাজী (২০)কে গ্রেফতার করাসহ তার ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোনসেট ও দোকানে থাকা ১টি ডেস্কটপ-কম্পিউটার জব্দ করেছে। ধৃত লম্পট রুবেল কাজী ভাতশালা গ্রামের রওশন কাজী ওরফে রওশন কসাইয়ের ছেলে।
জানাযায়, কেওয়াগ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীকে(এসএসসি পরীক্ষার্থী) স্কুল যাওয়া-আসার পথে ভাতশালা বাজারের কম্পিউটার(স্টুডিও) দোকানদার রুবেল কাজী বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ১৯/১০/২০১৭ তারিখ রাতে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে রুবেল কাজী ওই মেয়ের ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ভুল বুঝিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের একাধিক স্থির চিত্র ও ভিডিও চিত্র তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধারণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ভিকটিমের পিতা গত ২৪শে এপ্রিল সন্ধ্যা রাত ৭টার দিকে কসবামাজাইল পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে এস.আই রঞ্জন বিশ্বাসকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করে। এস.আই রঞ্জন বিশ্বাস সঙ্গীয় পুলিশ দল নিয়ে ভাতশালা বাজারে রুবেল কাজীর কম্পিউটার(স্টুডিও) দোকানে অভিযান চালিয়ে রুবেল কাজীকে আটক করে ঘটনার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল কাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল স্যামফোনি ভি-৪৬ সহ মোবাইল মোমোরিকার্ড ও সিম নং ০১৯৬৯-৮৮৮৪৮১ ও ০১৭১৯-৩৬১৭৯৬ এবং তার দোকানে থাকা ১টি ডেস্কটপ-কম্পিউটার জব্দ করে।
কম্পিউটার দোকানী রুবেল কাজী ওই স্কুল ছাত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করাসহ ধর্ষণের স্থির চিত্র ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর ঘটনায় ভিকটিমের পিতা পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪, তারিখ ২৫/৪/২০১৮ খ্রিঃ। ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) এবং তৎসহ পর্ণগ্রাফী আইন ২০১২ এর ৮(১)। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ কম্পিউটার দোকানী রুবেল কাজীকে গ্রেফতার করেছে।
কসবামাজাইলে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ॥আসামী রুবেল গ্রেপ্তার
