॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তালিকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম স্থান পেতে যাচ্ছে। এটি দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর সৈয়দপুর বিমান বন্দরটিও উন্নীত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার আগেই সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসাবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে আভাস মিলছে।
তবে এ বিমান বন্দরের সম্ভাব্য নামকরণ হতে পারে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী রংপুরের কৃতি সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে। নামকরণ অনুমোদিত হলে সৈয়দপুর বিমান বন্দরের নাম হবে ড. ওয়াজেদ মিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। বরেণ্য এই বিজ্ঞানীর নামে সৈয়দপুর বিমান বন্দরের নামকরণে রংপুর বিভাগের বিশিষ্টজনরা সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন।
তাদের মতে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ব্যক্তির নামে সৈয়দপুর বিমান বন্দরের নামকরণ করা হলে দেশের মানুষ খানিকটা হলেও তার ঋণ পরিশোধে মুক্ত হবে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিককরণের বিলবোর্ড সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে সৈয়দপুর বিমান বন্দরের টার্মিনাল চত্বরে লাগানো হয়েছে।
সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করণের ঘোষণা আসতে পারে জেনে উত্তর জনপদে আনন্দের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এই বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হলে পুরোপুরি বদলে যাবে এ জনপদের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাজের প্রস্তুতিমূলক কাজ দেখতে গত ৩১শে মার্চ সিভিল এ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (সিসিএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ নাইম হাসান ও সদস্য(অপারেশন-এ-প্লানিং) এয়ার কমোডোর মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ে একটি পরিদর্শন টিম। সরেজমিন বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে ঢাকা ফিরে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, রানওয়ের সম্প্রসারণ ভূমি অধিগ্রহণ, টার্মিনাল ভবন আধুনিককরণ, রাতের বেলা নিরাপদে যাত্রীবাহি বিমান উঠানামাকরণে এ্যাপ্রোচ লাইটিংয়ের কাজও তাদের পরিদর্শনের তালিকায় ছিল বলে জানা গেছে। এরআগে অবকাঠামো নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উত্তর কোরিয়ার কনসালটিং ফার্মের প্রতিনিধি মিস্টার ঝাং সৈয়দপুর বিমান বন্দরের আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। অবশ্য রাতের বেলা যাত্রীবাহি বিমান নিরাপদে উঠানামা করার এ্যাপ্রোচ লাইটিংয়ের কাজ শতকরা ৭৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট অপর একটি সুত্র জানিয়েছে।
এছাড়াও একাধিক যাত্রীবাহি বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নে গতি আনতে বিমান বন্দরে আরো একটি এ্যাপ্রোচ রানওয়ে নির্মাণ করতে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। একই সঙ্গে জোরে শোরে চলছে রেস্ট হাউস নির্মাণের কাজও। সব মিলে আগামী অর্থ বছরে তথা নির্বাচনী বছরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নয়নে মহা কর্মযজ্ঞ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক সুত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এটি শুরু হলে সৈয়দপুর বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী একটি প্রতিশ্রুতি এ জনপদে বাস্তবায়ন হবে।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহীন আহমেদ পরিদর্শন দলের বিমান বন্দর পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিমান বন্দরের অবকাঠামো এবং উন্নয়নের কারিগরি দিক পর্যবেক্ষণ করেন তারা।