Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পুলিশ লাইন্সের সামনে আবর্জনার দুর্গন্ধে পথচারীদের ভোগান্তি!

॥মাহ্ফুজুর রহমান॥ রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের সামনে মহাসড়কের পাশে পৌর এলোমেলোভাবে ফেলা ময়লা-আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জনবহুল এ এলাকায় বর্জ্য ফেলার জন্য পৌরসভার থেকে ডাস্টবিন দেয়া হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা তা ব্যবহার করছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকায় রাস্তার পাশে স্তুপ আকারে, যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। পঁচে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণে পথচারী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সেখানে ডাস্টবিন দেয়া হলেও অসচেতন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজন ওই ডাস্টবিন ব্যবহার করছে না। তবে প্রতিদিন সকালে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আবর্জনা পরিষ্কার করছে।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, নতুন বাজার ও আশপাশের হোটেল ব্যবসায়ীরা তাদের হোটেলের পঁচা ও উচ্ছিষ্ট খাবার, বর্জ্যগুলো নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে না ফেলে রাতের আঁধারে ডাস্টবিনের পাশে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। ব্রয়লার মুরগীর দোকানীরাও মুরগীর মাংস বিক্রির পর অবশিষ্ট থাকা অংশও ফেলে যায়। এ কারণেই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে।
পথচারী গোলাম মোস্তফা গিয়াস, রাকিবুল ইসলাম, আলম শেখসহ কয়েকজন বলেন, রাস্তার পাশে এভাবে ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে চলাচল করা খুবই কষ্টকর। প্রথম শ্রেণীর একটি পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে এ ধরনের নোংরা পরিবেশ কোনভাবেই কাম্য নয়।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থী সুমি আক্তার, শাহানা পারভীন, স্মৃতি বিশ্বাস, সোহেল, রাকিবসহ কয়েকজন জানায়, তারা প্রতিদিন এখান দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। আসা-যাওয়ার পথে এখানকার দুর্গন্ধে তাদের প্রায় বমি এসে যায়। পৌরসভার লোকজন কিভাবে ময়লা পরিষ্কার করে বুঝি না।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী জানান, আমরা পৌরসভা থেকে ডাস্টবিন করে দিয়েছি। লোকজন যদি ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে রাস্তার উপরে ফেলে তাহলে তো পরিবেশ দূষিত হবেই। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা প্রতিদিন রাস্তার উপর ফেলা ময়লা প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করছে বলে তিনি দাবী করেন।