Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়া নৌরুটে সরু চ্যানেলে ঝুকি নিয়ে চলছে লঞ্চ ও ফেরী!

॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া নৌরুট সরু চ্যানেলের কারণে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে ফেরী ও লঞ্চ। যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
চ্যানেলটি আরো প্রশস্ত হলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো না বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। খননের মাধ্যমে চ্যানেল প্রশস্তের দাবী জানান। তবে খনন বিভাগের মতে আপাতত চ্যানেল প্রশস্ত করার কোন সম্ভাবনা নেই।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র তথ্যমতে, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে সবচেয়ে নিকটে বা প্রথমে রয়েছে এক নম্বর ফেরী ঘাট। লঞ্চ ঘাট থেকে এই এক নম্বর ফেরী ঘাটের দূরত্ব প্রায় ১হাজার ফুট। এর প্রায় ৬৫০ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আরো দুটি ফেরী ঘাট রয়েছে। সে হিসেবে লঞ্চ ঘাট তিন নম্বর পর্যন্ত ফেরী ঘাটের দূরত্ব প্রায় ২৩০০ফুট। ২৩০০ফুট চ্যানেলের প্রশস্ততা কম থাকায় ঘাটের পন্টুনে ফেরী ভেড়ানোর পর বিশেষ করে পন্টুনের কনভেনশনালে ফেরী লাগানো থাকলে চ্যানেলের প্রায় অর্ধেকের বেশি জায়গা আটকে যায়।
দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে আসা একাধিক ফেরী ও লঞ্চ ঘাটের কাছে আসামাত্র ইঞ্জিনের গতি কমে আসছে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ধীর গতিতে ও সাবধানে চলাচল করছে। এ সময় পাশ দিয়ে লঞ্চ ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই পাটুরিয়াগামী লঞ্চ খুব সতর্কতার সাথে ও ধীর গতিতে যাচ্ছিল। লোড নেয়ার পর চ্যানেলে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ছাড়তে পারছিলনা। পাশাপাশি পিছন দিকে একাধিক ফেরী-লঞ্চ অপেক্ষা করছিল। ঘাটের কিছুদূরে একটি ড্রেজার ও পাইপ বসানো ছিল।
ফেরী বনলতার মাষ্টার লিয়াকত উজ্জামান বলেন, চ্যানেল সরু হওয়ায় ইঞ্জিনের গতি কমিয়ে আনতে হয়। সতর্কতার পরও মাঝেমধ্যে ফেরী বা লঞ্চের সাথে টুকটাক ধাক্কা বা আঘাত লেগে যায়। একটু অসাবধান হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খননের মাধ্যমে চ্যানেল আরো প্রশস্ত করা প্রয়োজন।
দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা তিতাস লঞ্চের মাষ্টার সিদ্দিকুর রহমান বলে, পানির গভীরতা মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও চ্যানেলের চওড়া খুবই কম। যে কারণে চ্যানেলের ভিতর থাকা তিনটি ফেরী ঘাট অতিক্রম করে লঞ্চ ঘাটে আসা যাওয়া করতে হয়। এ সময় মাঝে মধ্যে ঘাটে একাধিক ফেরী থাকলেই ভয়ে চালাতে হয়। কারণ যেকোন মুহুর্তে ফেরীর সাথে সংঘর্ষ বেধে গেলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়ার তিনটি ঘাটই চ্যানেলের ভিতর অবস্থিত। ১ থেকে ৩নম্বর পর্যন্ত ঘাটের চ্যানেলের প্রশস্ততা কম থাকায় ঝুকি নিয়ে ফেরীগুলো চলাচল করছে। চ্যানেল দিয়ে ফেরী ও লঞ্চ পাশাপাশি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার অহরহ চলায় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
বিআইডক্লিউটিএর খনন বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আক্কাছ মোল্যা জানান, চ্যানেলটির প্রসস্থ্য রয়েছে ৩৬০ফুট এবং পানির গভীরতা রয়েছে ১০ থেকে ১১ফুট করে। এ অবস্থায় চ্যানেলের প্রশস্ততা বা গভীরতা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। তারপরও চ্যানেলের মুখ প্রশস্ত রাখতে আমাদের একটি ড্রেজিং রেখে কাজ করে যাচ্ছি।