॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় গতকাল ২রা জানুয়ারী রাত সাড়ে ৭টায় রাজবাড়ী শহরে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাবের নেতৃত্বে রাজবাড়ী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আলমগীর হোসেন তিতু’র নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল ২টি রাজবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের পর যৌথভাবে রেলগেটের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক জিএস আশরাফুল হাসান আশা, রাজবাড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আলমগীর হোসেন তিতু, পৌর যুবলীগের সভাপতি সাফায়েত আলী সাফা ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ প্রমুখ।
বক্তাগণ রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীকে সরকারের মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, রাজবাড়ীবাসীর দীর্ঘদিনের আশা আজ পূরণ হলো। আশা করি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ীবাসীসহ সমগ্র দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে রাজবাড়ীর মুখ উজ্জ্বল করবেন। তার হাত দিয়েই রাজবাড়ীর সকল উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হবে। কাজের মধ্য দিয়েই আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ীর আপামর মানুষের মনে স্থায়ী আসন করে নেবেন। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন। আজকের দিনে তার মতো সহজ-সরল, সৎ, নির্ভেজাল, ভাল রাজনীতিবিদ বিরল।
হেদায়েত আলী সোহরাব বলেন, আমি দীর্ঘদিন একসঙ্গে পথ চলে দেখেছি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর মতো ভাল মানুষ হয় না। তিনি একজন সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতা। যখন যে কথা দেন তা রক্ষা করেন। রাজবাড়ীর উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ায় এখন থেকে তিনি রাজবাড়ীবাসীর জন্য আরো অনেক বেশী পরিমাণে সেবা ও উন্নয়ন করার সুযোগ পাবেন। তার জন্য আমরা গর্বিত। আগামী নির্বাচনেও তাকে নির্বাচিত করার জন্য আমাদেরকে এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
পৌর কাউন্সিলর শেখ আলমগীর হোসেন তিতু বলেন, আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের দীর্ঘ দিনের আশা তিনি পূরণ করেছেন। মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়ে তিনি রাজবাড়ীবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আশা করি তিনি সকলের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন। রাজবাড়ীবাসী তার সঙ্গে আছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন। তিনি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর জন্য রাজবাড়ীবাসীর দোয়া কামনা করেন।
ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া মাসুদ রাজীব বলেন, আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী শুধু রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগই নয়, দল-মত নির্বিশেষে জেলার আপামর মানুষের অভিভাবক। তিনি একজন আলোকিত মানুষ। আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা। জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে তিনি চার চারবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। লাখো মানুষের দোয়া-ভালবাসা নিয়ে তিনি মন্ত্রীসভায় স্থান পেলেন। তার হাত দিয়ে রাজবাড়ী উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে। এই জেলার মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ হবে।
এ সময় জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহম্মেদ হিরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিয়াদত আলী টগর, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজু আহম্মেদ, রাজবাড়ী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আহম্মেদ আল কামার উদ্দিন পরাগ, জেলা যুবলীগের সদস্য লিয়াকত আলী টুটুল, দাদশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিল আহম্মেদ সবুজ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল সালেহীন অপু, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন মিয়া টাইসন, সাধারণ সম্পাদক জালাল পাঠান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন মিঠুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজবাড়ী থেকে আওয়ামী লীগের কোন প্রতিনিধি এই সর্বপ্রথম মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেলেন। ইতিপূর্বে রাজবাড়ীর কেউই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কোন সরকারের মন্ত্রীসভায় জায়গা পাননি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীই প্রথম মন্ত্রীসভায় স্থান করে নিলেন।