রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী সদরের নিমতলার সেই আমিন হুজুর ৪র্থ বারের মতো মাদকসহ গ্রেফতার

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

॥আশিকুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামের সেই আমিনুল ইসলাম শেখ ওরফে আমিন হুজুর(৩০) ৪র্থ বারের মতো মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে।
গত ১০ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী থানার পুলিশ নিমতলা রেলগেট এলাকার নিজ বাড়ী থেকে ৫২পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও সে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ ৩বার গ্রেফতার হয়েছিল।
রাজবাড়ী থানার এস.আই আরিফুজ্জামান জানান, নিমতলা রেলগেট এলাকার মৃত নূরুল ইসলাম শেখের ছেলে আমিনুল ইসলাম শেখ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে এবং সে একজন কোরআনের হাফেজ। এ কারণে সে মানুষের কাছে আমিন হুজুর নামে পরিচিত। বেশ কয়েক বছর ধরে সে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে আগের ৩টি মাদক মামলা রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৯শে জানুয়ারী সে প্রথমবার ২৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রির ৩৬ হাজার টাকাসহ নিজ বাড়ী থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। ২০১৭ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। ২০১৮ সালের ২২শে জুন তৃতীয়বার ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র সদস্যরা। প্রতিবারই সে জামিনে বের হয়ে এসে আবারও মাদক ব্যবসা করতে থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, ছোটবেলায় আমিন হুজুর এলাকার ওয়াজ মাহফিলে সুরেলা কণ্ঠে গজল গেয়ে মানুষের মন জয় করতো। এ কারণে এলাকার লোকজন তাকে অত্যন্ত ¯েœহ করতো। সুরেলা কণ্ঠ ও ধর্মীয় দিকে মনোনিবেশ থাকায় প্রাইমারীর গন্ডি পার হওয়ার পর রিকশা চালক বাবা তাকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। সেখানে লেখাপড়া করে কোরআন মুখস্ত করে সে হাফেজ হয়। পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি মানুষকে তাবিজ-কবজ দিয়ে প্রতারণার ব্যবসা শুরু করে। টাকার প্রতি চলে আসে লোভ। সেই লোভই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জীবনে। কয়েক বছর তাবিজ-কবজের ব্যবসা করার পর সে পুরোদমে জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসার সাথে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!