বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করণের দাবী

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯

॥চঞ্চল সরদার॥ ‘গ্রেনেড হামলা দিবস’ উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল ২১শে আগস্ট বিকালে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুর জব্বার, সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ও রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ মোঃ উজির আলী শেখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, আগস্ট মাস বাঙালী জাতির জন্য দুঃখ-কষ্টের শোকের এবং ষড়যন্ত্রের মাস। ২০০১ সালে যখন বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসে তখন সরকারের পাশাপাশি আরেকটি ছিল হাওয়া ভবনের সরকার। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিল খালেদা জিয়া, আর হাওয়া ভবনের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিল তারেক জিয়া। তারেক জিয়াই ছিল ২১শে আগস্টের হামলার মূল নায়ক। সে হামলা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের উপর। পরে তারাই আবার ‘জজ মিয়া নাটক’ সাজিয়েছিল। তারাই কিবরিয়া হত্যাসহ সকল হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, কিন্তু আমরা জনগণের ভালোবাসায় বিশ্বাস করি। আমাদের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল, সেই খুনীদের বেশীরভাগকেই শাস্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে। আপনারা দেখবেন আগামী ৫বছরে এই দেশের অনেক উন্নয়ন হবে। এখন আর বিদ্যুৎ যায় না। কৃষকরা সারসহ সকল কৃষি উপকরণ সময়মতো পাচ্ছে। আপনারা আল্লাহ্র কাছে দোয়া করুন, আল্লাহ্ যেন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখেন। তাহলে আমাদের দেশটা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। ২১শে আগস্টে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ওই ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের প্রচলিত আইনে বিচার হচ্ছে। ইতিমধ্যে আদালতে খুনীদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। যেভাবেই হোক তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। সেই ২১শে আগস্টের ২৪টি মৃত্যুর জন্য দায়ী। পুরো পরিকল্পনাটিই ছিল তারেক জিয়ার। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনানে মারার পরিকল্পনা করেছিল সে। কিন্তু রাখে আল্লাহ্ মারে কে, আল্লাহ্ই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, আগস্ট মাস আওয়ামী লীগের জন্য দুর্যোগপূর্ণ মাস-রক্তাক্ত মাস। এই মাসেই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও জাতীয় চার নেতাসহ অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। তারা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী জনসভা চলাকালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ জাতীয় নেতাদের হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেই হামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মী নিহত এবং ৪শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। তাদের অনেকেই এখনো শরীরে গ্রেনেডের স্লিন্টার নিয়ে করুণ জীবন-যাপন করেছে। ইতিহাসের জঘন্যতম সেই হামলার ঘটনার বিচার শেখ হাসিনার সরকারই শেষ করবে। গ্রেনেড হামলার মামলার যে রায় হয়েছে সেটা দ্রুত কার্যকর হবে ইনশাল্লাহ্। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে এগিয়ে যাবো-এটাই হোক আজকে আমাদের শপথ।
আলোচনা সভার শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন আটাশ কলোনী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ সেলিম দেওয়ান।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রফেসর ফকরুজ্জামান মুকুট, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বককার খান, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মীর মাহফুজা খাতুন মলি এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীবসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আলোচনা সভার আগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ পূর্বক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আইভি রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!