শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বন্যায় রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক পরিবার পানিবন্দী॥ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় রাজবাড়ী জেলার নিম্নাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত সরকারী বরাদ্দ হয়েছে দেড়শ’ মেট্রিক টন চাল, নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও ২হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা ও কালুখালী উপজেলার ৩হাজার ৩৪৬টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ২৪৯ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণরূপে এবং ৬৮৬ হেক্টর জমির ফসল আংশিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর, দাদশী, বরাট, চন্দনী ও খানগঞ্জ ইউনিয়নে বেড়ী বাঁধের বাইরের নীচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে ৯২১টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। গোয়ালন্দ ও পাংশা উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী নীচু এলাকায় পানি প্রবেশ করায় এ দু’টি উপজেলায় যথাক্রমে ৬০০ ও ২৫০টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। তবে পরিবারগুলো এখনও তাদের নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছে। অপরদিকে, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নে বেড়ী বাঁধের বাইরে ১হাজার ৫৭৫টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। গত ২০শে জুলাই জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন এবং সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের নয়নসুখ ও আকিরুননেসা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ২০৬টি পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করেন। শুকনা খাবারের প্রতিটি কার্টুনে/বস্তায় ছিল ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি চিড়া, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও এবং ৫০০ গ্রাম নুডুলস।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ৯২১টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ২১.৪৫০ মেঃ টন চাল, গোয়ালন্দ উপজেলার ৬০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১২ মেঃ টন চাল এবং কালুখালী উপজেলার ১হাজার ৫৩৫টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ৪৬.০৫০ মেঃ টন টন চাল জেলা ত্রাণ ভান্ডার থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে-যা বিতরণ শুরু হয়েছে। পাংশা উপজেলার পানিবন্দী পরিবারের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।
ইতিমধ্যে রাজবাড়ী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে ১৭ সেঃ মিঃ, পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে ১৫ সেঃ মিঃ এবং গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে ২০ সেঃ মিঃ পানি কমেছে। গতকাল ২৩শে জুলাই দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৩৯ সেঃ মিঃ এবং সেনগ্রাম পয়েন্টে ৪১ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকারী বরাদ্দ আসা ১৫০ মেঃ টন চাল, নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের মধ্যে ৪০৬ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৭৯.৫০০ মেঃ টন বিতরণ করা হয়েছে। ৭০.৫০০ মেঃ টন চাল, নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও ১ হাজার ৫৯৪ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!